১৯০১ থেকে ২০১৮: ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথে এগিয়ে কে?

দরজায় কড়া নাড়ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ উন্মাদনায় বিভোর লাখো-কোটি ফুটবল ভক্ত। আর বাংলাদেশের ফুটবল আমেজটা তো আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের মধ্যে সীমাবদ্ধ! সম্প্রতি কিছু দর্শক এই দুই দলের বাইরে অন্য কাউকে সমর্থন করে। এই সংখ্যাটা হাতে গোনা। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফুটবল বিশ্বের একটি বড় ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যা দেশ দুইটির জাতীয় ফুটবল দল, এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হয়ে থাকে। এই দুইটি দলের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অনেক সময় ‘দক্ষিণ আমেরিকানদের যুদ্ধ (Battle of the South Americans)’ বলা হয়।

নিজ দলকে সেরা প্রমাণ করতে সমর্থকরা খুঁজে শত যুক্তি। বিতর্কে যে তাদের জিততেই হবে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকদের যুক্তি-তর্কের ভান্ডার আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে গোনিউজের পাঠকদের জন্য আমাদের আজকের আয়োজন।

আর্জেন্টিনা
পাঁচবারের বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট
চ্যাম্পিয়ন-দুই বার।
রানার্সআপ- তিন বার।
বর্তমানে বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল।

কোপা আমেরিকা ফাইনালিস্ট ২৭ বার(সর্বোচ্চ),
চ্যাম্পিয়ন- ১৪ বার।
রানার্সআপ-১৩ বার(সর্বোচ্চ)।
বর্তমানে কোপা আমেরিকার রানার্সআপ।

অলিম্পিক টুর্নামেন্ট ফাইনালিস্ট চার বার।
অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়-দুই বার।
অলিম্পিক সিলভার মেডেল জয়- দুই বার।

ফিফা কনফেডারেশন কাপ ফাইনালিস্ট তিন বার।
চ্যাম্পিয়ন-এক বার।
রানার্সআপ-দুই বার।

ফিফা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত মেজর ৪ টূর্ণামেন্ট- বিশ্বকাপ,কানফেডারেশন কাপ,অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নশিপ,মহাদেশীয় কাপ (কোপা আমেরিকা) সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনার ট্রফি অর্জন ১৯টা।
বিশ্বকাপ ২ টা,কোপা ১৪ টা,অলিম্পিক ২টা,কনফেডারেশন ১ টা।

প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ: আর্জেন্টিনা ১৯০১ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ খেলে উরুগুয়ের বিপক্ষে, সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৩-২ গোলে জয়ী হয়।
উল্লেখ্য, ফুটবল ইতিহাসে প্রথম দুইটি দল(আর্জেন্টিনা,ফ্রান্স)।
আর্জেন্টিনার বর্তমান প্রজন্মের সেরা তারকা।

বিশ্বকাপে অংশগ্রহন: আর্জেন্টিনা সর্বমোট ১৬ বার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে।তিনবার টুনামেন্ট বর্জন করেছে এবং একবার কোয়ালিফাই করতে পারেনি।

ঐতিহ্য: আর্জেন্টিনা পাসিং-সৃষ্টিশীল ফুটবলের জন্য বিখ্যাত।

র‌্যাঙ্কিং: র‌্যাঙ্কিংয়ের দিক দিয়ে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ পজিশন নাম্বার এক এবং সর্বনিম্ন ১৮। উল্লেখ্য, সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট অর্জন করেছিল ১৯৫৪’র হাঙ্গেরির ম্যাজিকাল ম্যাজেয়ার্স দল সেই দলের সেরা তারকা ছিলো পুসকাস। এরপরেই আছে জার্মান দল।

অর্জন: আর্জেন্টিনা ফিফা স্বীকৃত সব আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা প্রথম লাতিন ফুটবল টিম।

প্যান আমেরিকা গেমস: আর্জেন্টিনার অর্জন সর্বোচ্চ ৬ বার শিরোপা।এটি হলো মেজর চার টুনামেন্টের পরে আমেরিকাতে সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট।

উইরোপে ফুটবলার রপ্তানি: ইউরোপে ফুটবলার রপ্তানির দিক থেকে যেকোনো দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে আর্জেন্টিনা। পরের অবস্থানে ব্রাজিল।

বড় ব্যবধানে জয়: ৬-১ গোলের ব্যবধানে ব্রাজিলকে পরাজিত করে (বুয়েনোস আইরেস, ১৯৪০)।

ব্রাজিল
ছয়বারের বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট
চ্যাম্পিয়ন-পাঁচ বার।
রানার্সআপ- এক বার।

কোপা আমেরিকা ফাইনালিস্ট ১৯ বার
চ্যাম্পিয়ন- আটবার।
রানার্সআপ-১১ বার।

অলিম্পিক টুর্নামেন্ট ফাইনালিস্ট চার বার।
অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়- এক বার।
অলিম্পিক সিলভার মেডেল জয়- তিন বার।

ফিফা কনফেডারেশন কাপ ফাইনালিস্ট তিন বার।
চ্যাম্পিয়ন-চার বার।
রানার্সআপ-এক বার।

ফিফা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত মেজর ৪ টুর্নামেন্ট- বিশ্বকাপ,কানফেডারেশন কাপ,অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নশীপ,মহাদেশীয় কাপ (কোপা আমেরিকা) সব মিলিয়ে ব্রাজিলের ট্রফি অর্জন ১৮টা।
বিশ্বকাপ ৫ টা,কোপা ৮ টা,অলিম্পিক ১ টা,কনফেডারেশন ৪ টা।

প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ: ব্রাজিল প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ খেলে ১৯১৪ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে,ব্রাজিল ০-৩ গোলে ম্যাচটিতে পরাজিত হয়।

বিশ্বকাপে অংশগ্রহন: ব্রাজিলই একমাত্র দল যারা প্রত্যেকটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে।
হেক্সা মিশনে দলটির প্রাণ ভোমরা।

ঐতিহ্য: ফুটবলে ব্রাজিলের ‘সাম্বা’ নাচ এক অন্য রূপ।

র‌্যাঙ্কিং: ব্রাজিলের সর্বোচ্চ পজিশন নাম্বার ১ এবং সর্বনিম্ন ২২।

প্যান আমেরিকা গেমস: ব্রাজিলের অর্জন চার বার শিরোপা।

বড় ব্যবধানে জয়: ৬-২ গোলের ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে (রিউ ডি জানেইরু, ১৯৪৫)।

মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা
সর্বমোট ম্যাচ-৯৫ টি।
ব্রাজিল-৩৬টি।
আর্জেন্টিনা- ৩৬
ড্র-২৪।
আর্জেন্টিনা গোল করেছে-১৫১টি।
ব্রাজিল গোল করেছে-১৪৭টি।
অ্যাওয়ে ম্যাচে আর্জেন্টিনার বড় জয় ৫-১ ব্যবধানে।অ্যাওয় ম্যাচে ব্রাজিলের বড় জয় ৪-১ ব্যবধানে।

সর্বকালের সেরা একাদশ: Foxsports এর সর্বকালের সেরা ফুটবলার একাদশে ৩ জন আর্জেন্টাইন রয়েছে,তারা হলেন- ডি স্টেফানো,ম্যারাডোনা এবং লিওনেল মেসি।সর্বকালের সেরা ফুটবল একাদশে ২ জন ব্রাজিলিয়ান রয়েছে,তারা হলেন- কাফু এবং পেলে।